ইউরোপ যেতে গিয়ে লিবিয়ায় আটকা পড়ে দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন ৯ বাংলাদেশি। ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন তারা জীবিত দেশে ফিরতে চাই।

দালালের মাধ্যমে ইউরোপে যেতে গিয়ে লিবিয়ায় আটকে পড়া চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাথরিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ করিম তাঁর পরিবারের কাছে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এই আবেদন জানান। ভিডিও বার্তায় বলা হয় ‘আমাদের কাছে দেওয়ার মতো আর কিছু নেই। কোনো কাজকর্মও করতে পারছি না আমরা। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, যত দ্রুত সম্ভব আমাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন। আমরা জীবিত দেশে ফিরতে চাই।’

গতকাল সোমবার( ২ সেপ্টেম্বর) পাঠানো ২ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের এই ভিডিও বার্তায় লিবিয়া আটকা পড়া আরো আটজনের কথাও বলায়। তাঁরা হলেন গন্ডামারা ইউনিয়নের রুকনুল ইসলাম, মো. মোরশেদুল আলম, মোহাম্মদ কাউছার মিয়া, আজগর হোসেন, গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ আশেক ও তাঁর ভাই ইব্রাহিম খলিল এবং বাঁশখালী পৌরসভার উত্তর জলদীর আইয়ুব আলী।

প্রেরিত বার্তায় তাদেরকে নিরাপদে রাখার জন্য বাঁশখালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর উক্ত ৯ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনিক সহযোগিতা ও সরকারি হস্তক্ষেপ চেয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করা হয়।

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার জানান, ‘লিবিয়ায় আমাদের দূতাবাসে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেছি। সেখান থেকে যোগাযোগ করে দালালদের হাত থেকে ৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা বর্তমানে নিরাপদ স্থানে আছেন। কিন্তু তাঁদের ভিসা-পাসপোর্ট কিছুই নেই। তাই কোন পন্থায় তাঁদের ফিরিয়ে আনা যায়, সে বিষয়ে দূতাবাসের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তাঁদের পরিবারের কাছে পাঠানো ভিডিওটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। নিরাপদে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’

লিবিয়ায় আটকে পড়া মোহাম্মদ আশেক ও ইব্রাহিম খলিলের মা সোনিয়া বেগম বলেন, ‘আমাদের ছেলেদের ভিডিও দেখে আর ঘুমাতে পারছি না। আমি সরকারের কাছে তাদের এনে দেওয়ার আবেদন করছি।’

গিয়াস উদ্দিনের বাবা আবদুল মজিদ বলেন, ‘সামর্থ্য থাকলে আমি লিবিয়ায় উড়ে যেতাম। কিন্তু আমি অসহায়।’